কমলকুমার মজুমদারের কি, অতীব সুন্দর পিঞ্জরটিতে, একটি জীবন্ত পাখি নেই? আমরাও কি, সুঘরাই-র মতো, খাঁচার প্রেমে মোহিত হয়ে, পাখিটিকে ভুলে যাব? বা, চেঞ্জার বাবুদের মতো, খাঁচাটিকে দেখে তারিফ করব, বলব : আঃ কী মর্ডান?
কমলকুমারের সমগ্র রচনা বারবার পাঠের পর, এই গ্রন্থের লেখকের মনে হয়েছে পাখিটির স্বরূপ দর্শন অত্যন্ত জরুরী।
শুধু তাই নয়, কমলকুমারের শৈলীও যে একটি স্থির বিষয় নয়, বিশেষত, জীবনের শেষ পর্বে – ন্যূনাধিক দশ বছর – সে শৈলীর যে বিরাট পরিবর্তন ঘটেছে, তা তুলে ধরা ও তার তাৎপর্য অনুধাবন করাও জরুরী বলে মনে হয়েছে।
এই ক্ষুদ্র গ্রন্থে, মোট পাঁচটি রচনায়, কমলকুমারের যাত্রাটিকে সম্পূর্ণভাবে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ আলোকপাত রয়েছে শেষ পর্বের লেখার উপর।
কমলকুমার-সাংবাদিকতা নয়, কোন খণ্ডিত পাঠও নয়, এ-গ্রন্থ তাঁর আত্মাটিকে – ভাব ও ভাষায় – স্পর্শ করার একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।