বীরাঙ্গনা: যুদ্ধকালীন ধষর্ণের নীতিসম্মত সাক্ষ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে

185.00

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পারিবারিক স্মৃতি নিয়ে লাবণ্যকে একটা স্কুলের প্রজেক্ট করতে হবে। সে তার নানুর কাছে এই নিয়ে কথা বলতে আসে দুপুর বেলা। ও নানুর দুঃস্বপ্নের ঘুম ভাঙ্গায়। নানু যুদ্ধের এই দুঃস্বপ্ন বার বার দেখেন। ঘুম ভেঙ্গে নানু তাকে বীরাঙ্গনাদের ইতিহাস জানান। একাত্তরের যুদ্ধে পাকিস্তানের সৈন্যরা ও স্থানীয় রাজাকাররা যেসব মেয়েকে ধরে নিয়ে যায়, অত্যাচার করে, ধর্ষণ করে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাঁদের ‘বীরাঙ্গনা’ বলে সম্মান জানায়। লাবণ্যের মা হেনা তাকে কথ্য ইতিহাসের অভিজ্ঞতা জানান, যার মাধ্যমে তাঁরা বীরাঙ্গনাদের সাক্ষ্য সংগ্রহ করেছেন। সেই সাথে কথ্য ইতিহাসের নানাবিধ নৈতিক টানাপড়েনের এবং যে ভুলগুলো তিনি করেছেন তার কথা বলেন। হেনার মনে হয়: যুদ্ধে ধর্ষণের শিকার নারীদের সাক্ষ্য সংগ্রহের জন্য প্রয়োজন একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা, যা তাদের নানা ভুল-ত্রুটি, দৃঢ় নৈতিক অবস্থানের কথা মনে করিয়ে দেবে। কিন্তু এই নীতিমালার কথোপকথনের মধ্যে লুকিয়ে আছে লাবণ্যের পারিবারিক ইতিহাস ও গোপনীয় বিষয়। কী সেই গোপন থাকা কথা? এই কাহিনী আবিষ্কার করে লাবণ্যের কী অনুভূতি হয়? সে ভবিষ্যতে এই পারিবারিক ও দেশের ইতিহাসকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে?

একটু পড়ে দেখুন

10 in stock

অধ্যাপক নয়নিকা মুখার্জী প্রকাশিত স্পেক্ট্রাল উন্ড: সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স, পাবলিক মেমোরিজ অ্যান্ড দ্য বাংলাদেশ ওয়ার অব ১৯৭১ (২০১৫, ডিউক ইউনিভার্সিটি প্রেস; ২০১৬, জুবান) বইয়ের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে এবং রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশের (রিইব) সহযোগিতায় আমরা এই নীতিমালা ও সচিত্র কাহিনী প্রকাশ করেছি। যারা ধর্ষণের সাক্ষ্য নেবার প্রচেষ্টা করবেন (গবেষক, সরকারি কর্মকর্তা, নীতিনির্ধারক, এনজিও প্রতিনিধি, মানবধিকার ও নারীবাদী কর্মী, উকিল, লেখক, সাংবাদিক, প্রামাণ্যচিত্রকার ও আলোকচিত্রী) তাঁরা এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই নীতিমালা উন্মোচন করে। ইএসআরসি-র ইমপ্যাক্ট একসেলারেশন অ্যাকাউন্ট এবং ডারহাম ইউনিভার্সিটির রিসার্চ ইমপ্যাক্ট ফান্ড প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করেছে।

লেখক

,

আঁকা

নাজমুন নাহার কেয়া

আইএসবিএন

978-984-95218-4-6

প্রকাশনা

বুবুক

সংস্করণ

প্রথম

বাঁধাই

পৃষ্ঠা সংখ্যা

৪০

আকার

উচ্চতা ৯.৩৮ x প্রস্থ ৭.২৫

ওজন

১৭০ গ্রাম

Customer Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “বীরাঙ্গনা: যুদ্ধকালীন ধষর্ণের নীতিসম্মত সাক্ষ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে”

Your email address will not be published. Required fields are marked *