ভারতবর্ষের মন্দির ভাস্কর্যে দেবদেবীর মূর্তি ছাড়াও মানব-মানবীর মূর্তিও রয়েছে বিস্তর। সেকালের দেব দেবীদের মূর্তিতে ধুতি-উত্তরীয় ব্যবহার করা হত। মুকুট অলঙ্কারের জাঁকজমক থাকত। রাজা মহারাজারা যেমন রাজসিক বেশে দরবারে বা জনসমক্ষে উপস্থিত হতেন, দেবতাদের মূর্তিও সাজানো হত সেইভাবে। মন্দির ভাস্কর্যে দেবদেবীদের পাশাপাশি থাকতো যক্ষী, অপ্সরা, মদনিকা, রতি প্রমুখ মূর্তি। সকলেই সুন্দরী, লাবণ্যে গরীয়সী, আবরণে আভরণে সুসজ্জিতা। এঁরা পৃথিবীর কেউ না হলেও এদের সর্বাঙ্গে থাকতো পার্থিব লাবণ্য। এরাই প্রাচীন ও মধ্যযুগের নারী সমাজের প্রতিনিধি। এই মূর্তিগুলি অনুসরণ করেই আমরা জানতে পারি সে যুগের নারীরা কেমন করে চুল বাঁধতেন, কাজল পরতেন, কী ধরনের গয়না ব্যবহার করতেন।
শুধু নারীমূর্তি নয় সৈন্যসামন্ত, শিকারী, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিচ্ছবি থাকত এই মূর্তিগুলিতে। অজস্র মিথুন ও মৈথুন মূর্তি ছড়িয়ে ভারতের নানা প্রান্তের মন্দিরে মন্দিরে। শিল্পীর দক্ষতায় এ সমস্ত ভাস্কর্যে ফুটে উঠেছে সমাজ সংসারের খণ্ড চিত্র। বিধৃত হয়েছে সেই সময়ের টুকরো ইতিহাস।
There are no reviews yet.