মনোজ্ঞ পাঠকের জন্য পাঁচটি দুর্লভ বেশ্যা-বিষয়ক বই পুনর্মুদ্রিত হল আনন্দ-প্রকাশিত এই সংগ্রহে। কলকাতা শহরের নতুন আমুদে বাবুদের আকর্ষণ করার পাশাপাশি মেয়ে হিসাবে নিজেদের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াই, সর্বত্রই বেশ্যারা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন উনিশ শতকে। এটাকে যাঁরা বাড়বাড়ন্ত মনে করতেন তাঁদের দৃষ্টিকোণে লেখা ‘বেশ্যানুরক্তি বিষমবিপত্তি’ (১৮৬৩)। ১৮৬৮ সারে ইংরেজ সরকার সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্য ‘চোদ্দ আইন’ জারি করেন, সেই আইনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বেশ্যারা পেশা চারাতে পারবেন বলা হয়। প্রকাশিত হয় সেকালের সবচেয়ে আলোড়িত বেশ্যা-বিষয়ক আইনের বই ‘বেশ্যা গাইড’ (১৮৬৮), যাকে কেন্দ্র করে এই আইনের পক্ষে-বিপক্ষে ভাগ হয়ে যায় বাঙালি সমাজ।
There are no reviews yet.