ভাষাস্রোত নদীর স্রোতের মতো কোন প্রাকৃতিক ব্যাপার নয়। একটি ভাষা বিশেষ কোনো জনজাতির পরম্পরাক্রমে বাহিত। পূর্বপুরুষ থেকে উত্তরপুরুষের দিকে তার যাত্রা। কোনো বিশেষ ভাষা বিচারের আগে আমাদের জানতে হবে কোন্ জনগোষ্ঠীর দ্বারা সেই ভাষা বাহিত ও লালিত। কারণ জনজাতিকে না-জেনে কোনো ভাষারই বিচার যথাযথ হয় না। বাঙলা ভাষার কাঠামো থেকে যেমন বোঝা যায় অস্ট্রিক বা কোল্ল জাতির মানুষের দ্বারাই এই ভাষার বুনিয়াদ তৈরি হয়েছে। দ্রাবিড় ভাষা-সমূহের নানান ছোট-বড় উপাদান আমরা ভাবপ্রকাশের কাজে লাগিয়েছি, নিয়েছি বিস্তর শব্দও। ভোট-চীনীয়, বিশেষত বোডো ভাষাসাম্রাজ্যের নানা শাখার মাধ্যমে বাঙলায় প্রবেশ করেছে বহুবিচিত্র ভোট-চীনীয় শব্দ। এই বইয়ে সংকলিত বিবিধ প্রবন্ধে বহুদর্শী লেখক নৃতত্ত্ব, ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব এবং ভাষাতত্ত্বের সাম্প্রতিকতম গবেষণার আলোয় বাঙলা ভাষার গঠন নিয়ে একেবারে অনন্য এক ভাবনার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন, যার গভীরতা বিস্ময়কর। বাঙলা ভাষা নিয়ে ভাবিত পাঠক এ বই পড়লে সম্পূর্ণ অন্যভাবে বাঙলা ভাষার জগৎটিকে দেখতে শুরু করবেন।
There are no reviews yet.