নির্যাতন শব্দটির আভিধানিক অর্থ পীড়ন, নিগ্রহ, অত্যাচার, প্রতিহিংসা, শত্রুতার প্রতিশোধ, অপকারকের অপকার চেষ্টা। আর নির্যাতিত মানে নিগৃহীত, উৎপীড়িত, লাঞ্ছিত, এই সকল শব্দ। বঙ্গে নারী নির্যাতন শব্দটি বললে প্রথমেই মনে পড়ে সতীদাহর কথা। সতীদাহ আইন করে বন্ধ করা হলেও নির্যাতন কিন্তু বন্ধ হয়নি। সতী প্রথার পরেও সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে নারীদের যে কতরকম যন্ত্রণা ও নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তৎকালীন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে আমরা জানতে পারি। বাল্যবিবাহ ও বৈধব্যের যন্ত্রণা যে কী মর্মান্তিক তার বহু বহু উদাহরণ ছড়িয়ে রয়েছে তখনকার পত্র-পত্রিকায়। প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস এবং কবিতায়ও। গত শতাব্দীর পত্র-পত্রিকায় নারী জাগরণের জন্য বহু লেখকই কলম ধরেছিলেন। গণমাধ্যমের জন্যেই নারীর যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল তারই ফলশ্রুতিতে গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন নারী সমিতি। এইসব সংগঠনের মাধ্যমেই বহু নারী খুঁজে পেল জীবন জীবিকা ও বেঁচে থাকার অর্থ। বিধবা বিবাহের ব্যাপক প্রচারে তখনকার সাময়িকীগুলো যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এরপর বঙ্গে বিরাট পরিবর্তনের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ল – স্বাধীনতা আন্দোলনের পর্যায়।
There are no reviews yet.