পাণ্ডবরা রাজ্য ত্যাগ করে বারো বছর বনবাশে থাকার পর, মৎস্যদেশের রাজধানী বিরাত্নগরে এক বছরের অজ্ঞাতবাস কাটাতে এলেন। এতদিন তাঁরা বনবাসকালে রাজার মতোই মাথা উঁচু করে অরণ্যে পর্বতে ভ্রমন করছেন। সেই সঙ্গে মুনি ঋষিদের কাছে অকুণ্ঠ আশীর্বাদ, জ্ঞান ও শিক্ষালাভ করেছেন। তাই তাঁদের কাছে বনবাস কষ্টকর হলেও কঠিন ছিল না, কারণ সেটা ছিল এক অর্থে তপস্যা ও বৈরাগ্যের সাধনা, যা রাজগরিমা থেকেও অনেকবেশি সমুজ্জ্বল ও মহান। কিন্তু এই আত্মপরিচয়হীন ভৃত্যজনোচিত অজ্ঞাতবাস যা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এতদিন যাঁরা আদেশ করে এসেছেন, তাঁদের এখন ভৃত্যের মতো আদেশ পালন করাই হবে কাজ। মানুষের এই চিরন্তন সুখ-দুঃখ, উত্থান-পতন নিয়ে মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস কৃত মহাভারতের বিরাতপর্ব থেকে নেওয়া এবং হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশ ও বর্ধমান রাজবাতী-বঙ্গানুবাদ অনুসরণে লেখা পাণ্ডবদের অজ্ঞাতবাস
There are no reviews yet.