‘এক শতাব্দীরও অধিককাল ধরে শিল্পের প্রতি বিবেচনা ধীলে ধীরে অধিকতর বৌদ্ধকীকৃত হয়ে উঠেছে। জাদুঘর প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্বের যত শিল্প প্রকাশ সমস্তই এক ছাদের নিচে এসে পড়েছে; তাই তুলনার জন্ম নিয়েছে। আপাত বৈরিতাপূর্ণ ঘরানার পরম্পরাও শিল্পের দৃষ্টিনন্দন সুখের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শিল্পের ক্ষেত্রে প্যাশনপূর্ণ চাহিদা জাগিয়ে তোলে। জাদুঘর হলো এমন এক স্থান যেখানে মানুষকে তার মহত্তম রূপেই প্রদর্শন করে… সেখানে শিল্পের শিল্প হওয়া ছাড়া অন্য কোনো কার্য নেই; এবং এমন এক সময় যখন বিশ্বের শৈল্পিক অগ্রগতির আবিষ্কার অগ্রসরমান, এত বেশি মাস্টারপিস একত্রিত হওয়া-যদিও অনেকই অনুপস্থিত-সমস্ত বিশ্বের মাস্টারপিসকে মনের চোখে সৃষ্টি করে। এই সম্ভাব্য খণ্ডিত কী করে সম্ভাব্যের সমস্ত ব্যাপ্তিকে জাগিয়ে তুলতে ব্যর্থ হতে পারে?
এর ফলে আমাদের নিকট এক প্রাচীরমুক্ত জাদুঘর উন্মুক্ত হয়, এবং প্রকৃত মিউজিয়াম তাদের প্রাচীরের মধ্যে শিল্প জগতের যে সীমিত প্রকাশ করে তার থেকে তা অসীম অনন্ত দূরে নিয়ে যায়: তাদের আবেদনের জবাবে নম্যকলা তাদের মুদ্রণ প্রেসকে উৎপাদন করেছে’।– আঁদ্রে মালরো, প্রাচীর মুক্ত জাদুঘর।
There are no reviews yet.