সদ্ধর্ম পুণ্ডরীক সূত্রে বুদ্ধের মূল ভাবধারা, বুদ্ধের ধর্মের সারাংশ, সংরক্ষিত আছে বলে লক্ষ লক্ষ বৌদ্ধধর্ম বিশ্বাসীরা মনে করেন। দুটি হ্রস্ব সূত্র, অমিতার্থ সূত্র বুদ্ধভাষিত সমন্তভদ্র বোধিস্বত্বের তপস্যা-বিধি সূত্র, এর সঙ্গে যুক্ত আছে। এই তিনটি সূত্র মহাযান বৌদ্ধধর্মের সর্বপ্রধান সূত্ররূপে স্বীকৃতি লাভ করেছে। পৃথিবীর ধর্মগ্রন্থের ইতিহাসেও এর স্থান অনবদ্য ও অদ্বিতীয়। বর্তমান সংস্করণ ত্রিখণ্ড পুণ্ডরীক সূত্রের প্রথম বঙ্গানুবাদ।
সুদীর্ঘ চল্লিশ বছর ধর্ম প্রচারের পর, বুদ্ধ তাঁর মহাপরিনির্বানের অল্প কিছুদিন পূর্বে সদ্ধর্ম পুণ্ডরীক সূত্রটি প্রকাশ করেন। এই সূত্রের ভাষণদানের সমাবেশে তাঁর শিষ্যগণ ও দেবতা থেকে আরম্ভ করে অপদেবতা পর্যন্ত অনেকেই উপস্থিত ছিল। অনন্ত বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সূত্রটি বলেন, ও তাঁর বাণী গদ্য এবং পদ্যে প্রদান করেন। এতে তিনি অনেক উপমাও ব্যবহার করেন যাতে সূত্রটি সহজে বোঝা যায়।
সূত্রের তিনটি প্রধান বক্তব্য বিষয় হচ্ছে,
১) যে কোনও লোক সম্বোধি অর্থাৎ বুদ্ধত্ব অর্জন করতে পারবে, এবং এটাই বিশ্বাসীর চরম লক্ষ্য হওয়া উচিত। (২) বুদ্ধ শাশ্বত। তিনি অনাদি অতীত থেকে বিদ্যমান আছেন, এবং প্রাণীদের সদ্ধর্ম পুণ্ডরীক সূত্রের শিক্ষার মাধ্যমে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুগে যুগে বহুরূপে জগতে অবতীর্ণ হয়েছেন। (৩) বৌদ্ধধর্মে সাধনার সর্বাপেক্ষা উত্তম পথ হচ্ছে বোধিসত্ত্ব-মার্গ যেখানে বিশ্বাসী কেবল নিজের জন্য নয়, সব প্রাণীর মুক্তির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে।
There are no reviews yet.