এ সেই প্রজন্মের গপ্পো, যাদের ফূর্তি বলতে সবে আসা কেবল টিভির উত্তেজনা, আর লিটন ম্যাগাজিনে উত্তর আধুনিকতার থার্ড হ্যান্ড আখ্যান। উৎসব বলতে বাৎসরিক বইমেলা। শত্রু বলতে আমেরিকা। যখন বিক্ষোভ হলে অনায়াসেই ঢিল মেরে আসা যায় আমেরিকান সেন্টারে, আর সন্ধ্যে আটটায় পর দূর-দূর করে প্রেমিক-প্রেমিকাদের নন্দন থেকে তাড়িয়ে দেয় উর্দিধারী শান্তিরক্ষক। নয়া নন্দন-কানন শপিং মলগুলি তখন ও দিনের আলো দেখেনি।
কিন্তু সবার উপরে, এই সেই ব্যক্তি-লেখকের ব্যক্তিগত আখ্যান, যে কিছুটা বিপ্লবী খানিকটা ক্রিকেট-বিশেযজ্ঞ, সামান্য শিশু ও বাকিটা কালাপাহাড়, স্লাইট আমেরিকান আর অনেকটাই ডেলি-প্যাসেঞ্জার – হাওড়া-তারকেশ্বর লাইনে যাতায়াত করে যার কৈশোর ও যৌবনের অর্ধেকটা কেটেছে। বাকিটা কেটেছে হুজুগ বিক্ষোভে। বইমেলা আর ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। প্রচুর আজগুবি জিনিস থাকলেও এখানে মিথ্যে কথা প্রায় নেই বললেই চলে। এই কাহিনীর নায়ক নিরো ও এই কাহিনীর কথক তাই পৃথক কিন্তু অভিন্ন।
There are no reviews yet.