২০০৮-এ আসুন বাংলায় ফিরি-র প্রথম সংস্করণ বেরোবার পর এস্মাট বাঙালি না-বাঙ্গালিত্ব অর্জনের সাধনায় আরও অগ্রসর হয়েছে। এস্মাট প্রজাতির বাঙালির সেই বিরামহীন বিবর্তনের পথে নতুন কিছু বাঁক সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে। ১৯৫০-৬০-এর দশকে বাঙালি ভদ্রলোকের ইতিবাচক “ছোটলোকায়ন” ঘটেছিল; আজ ‘সম্মান’ আর ‘সনমান’- এ লাট খেয়ে তার নেতিবাচক ‘ভদ্রলোকায়ন’ ঘটেছে। নয়া-হিঁদু বাঙালি আজ শিখে ফেলেছে, বিলেত-ফেরত লম্বা রবীন্দ্রনাথের পাশে বেঁটেখাটো মেদেনীপুরিয়া ঈশ্বর বাড়ুজ্যে নেহাতই এক মফসসলি কাশুরে জৈ। কালচার ইন্ডাস্ট্রির দাপটে পরম সুখে হাটের ধুলায় গড়াগড়ি খাচ্ছে ‘সেরা বাঙালি’দের চিন্তাচেতনা। এরই মধ্যে, এস্মাট উত্তরাধিকারীদের দিকে চেয়ে দেড়শো বছরের ওপার থেকে সবেদন স্নেহে কী যেন বলতে চান নিরীহ বাঙালি পুরুষসিংহ হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়- অনেক ত হল, আসুন এইবার বাংলায় ফিরি।
There are no reviews yet.