‘ঐ চিত্রবিদ্যা বলে একটা বিদ্যা আছে তার প্রতিও আমি সর্বদা হতাশ প্রণয়ের লুব্ধ দৃষ্টিপাত ক’রে থাকি– কিন্তু আর পাবার আশা নেই, সাধনা করবার বয়স চ’লে গেছে।’ এ কথা রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন ১৮৯৩ সালে। তখনও তাঁর ছবির চর্চা সাহিত্যচর্চার পাণ্ডুলিপি সংশোধনের সূত্রে সীমিত। সেই রবীন্দ্রনাথ ১৯৩৪ সালে, যখন প্রায় সব কাজ ফেলে ছবিই আঁকছেন অহরহ, তখন লিখছেন– ‘আজকাল একেবারে অরুচি ধরেছে লেখায়। মনটা এখন স্বভাবত ছোটে ছবির দিকে।… এর মাঝখানে কর্ত্তব্যের গদি থেকে বক্তৃতার ফরমাস এলে ধৈর্য্য থাকে না। অথচ উপায় নেই।… টাগোরকে সাজতে হচ্চে কখনো শিক্ষাসংস্কারক, কখনো পল্লি-সংস্কারক, কখনো বিশ্বসংস্কারক। এখন সব সাজ ফেলে দিয়ে চিত্রকূটের শিখরে চড়ে নির্জ্জনবাসের জন্যে মন উৎসুক।’ প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে ছবি নিয়ে তাঁর এমনই সব অনুভব, ভাবনা, উপলব্ধি, উদ্বেগ, হতাশা আর উৎফুল্লতার কথা তিনি লিখেছেন অন্তরঙ্গজনকে লেখা তাঁর অজস্র চিঠিতে। তার থেকে নির্বাচন করে এই সংকলন– চিত্রকর রবীন্দ্রনাথের আত্মকথা।
There are no reviews yet.